প্রতিবেশীদের অসুবিধা হলেও মিথ্যা কথা বলে জোর করে কোরান পাঠ চালিয়ে যাবার সমর্থন করতেন সাইবাবা

Sai baba lied and continued reciting the Quran


নমস্কার

শ্রীগুরুবে নমঃ 

নমঃ শিবায় 

হর হর মহাদেব 

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সাই বাবা নামের একজন বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তি কে কিছু সনাতনী হিন্দু রা সনাতন ধর্মের ভগবান বা গুরু ভেবে নিয়ে পূজা করা শুরু করেছে।

যে সাই বাবা আসলেই একজন মুসলিম ফকির । তিনি মাথায় মুসলিমদের মতোই টুপি পড়তেন, কফনী আচ্ছাদিত করতেন। 

এছাড়াও তিনি ছিলিমে গাঁজা ভরে টান দিয়ে নেশা করতেন ও অন্যদেরকেও নেশা করবার জন্য নেশার বস্তু মুখের সামনে এগিয়ে ধরতেন।

অথচ 

 সনাতন ধর্মের‌ই কিছু সনাতনী ব্যক্তি এসব ঘূর্ণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না যে, ভক্তির নামে সনাতনী দের সাথে বিরাট বড় ছলনা করা হচ্ছে। 

এই সাই বাবা যে একজন মুসলিম ফকির ছিলেন, তিনি যে ইসলামের গ্রন্থ কোরান শরীফ পুস্তকের “কলমা” পাঠ করবার কট্টর সমর্থক ছিলেন । 

তা শ্রী সাই সৎচরিত্র নামক পুস্তকের মধ্যেই পরিস্কার করে বর্ণিত আছে ।

ওই পুস্তকের ৩ নং অধ্যায়ের মধ্যে “রোহিলার কাহিনী” অংশে বলা হয়েছে,

  “এক সময় রোহিলা নামক এক ব্যক্তি শিরডীতে থাকতে এলো। তার শরীর লম্বা-চওড়া, সুদৃঢ় ও সুগঠিত। বাবার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে ও শিরডীতেই থাকতে লাগল। 

 সে অষ্টপ্রহর উচ্চস্বরে 'কলমা' (কোরানের শ্লোক) পাঠ করত এবং ‘আল্লা হো আকবর' এর ডাক আওড়াতো।  শিরডীর অধিকাংশ বাসিন্দারা সারাদিন ক্ষেতে কাজ করে যখন রাতে বাড়ী ফিরত।

তখন রোহিলার কর্কশ আওয়াজ তাদের আরাম ও শান্তি ভঙ্গ করতরাতে বিশ্রাম না করতে পারার দরুণ তারা যথেষ্ট কষ্ট ও অসুবিধে অনুভব করছিল। অনেকদিন ওরা এ বিষয়ে কোন উচ্চবাচ্য করল না।কিন্তু কষ্ট অসহ্য হয়ে উঠলে ওরা বাবার কাছে রোহিলাকে এই উৎপাত বন্ধ করতে বলার জন্য প্রার্থনা জানাতে গেল। 

  কিন্তু বাবা তাদের এই প্রার্থনা গ্রাহ্যই করলেন না, বরং গ্রামবাসীদেরই শাসন করে বললেন যে, তাদের নিজের কাজের প্রতি মন দেওয়া উচিত, রোহিলার দিকে নয় ।

বাবা তাদের জানালেন যে, রোহিলার স্ত্রী একটু দুষ্ট প্রকৃতির এবং সে রোহিলা ও বাবাকে যথেষ্ট কষ্ট দেয়। কিন্তু ‘কোরাণ শরীফ’-য়ের কলমার সামনে সে টিঁকতে সাহস করে না। তবে গিয়ে দুজনে একটু শান্তিতে ও সুখে থাকতে পারে। 

কিন্তু আসলে রোহিলার কোন স্ত্রী ছিল না। বাবা শুধু কুবিচারের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন।

সুতরাং 

তিনি রোহিলার পক্ষ নিয়ে গ্রামবাসীদের শান্তিপূর্বক কিছুদিন উৎপাত সহ্য করতে পরামর্শ দেন।”


♦️ উক্ত পুস্তকের পৃষ্ঠার চিত্র দেখুন 👇

Sai baba lied and continued reciting the Quran
[তথ্যসূত্র : “শ্রী সাই সৎচরিত্র " পুস্তক/অধ্যায় ৩/রোহিলার কাহিনী ]


☝️ উপরোক্ত পুস্তকের লেখা থেকে পরিষ্কারভাবেই বোঝা গেল যে — 


 সাইবাবা তার অনুসারী রোহিলার কোরান পাঠ কে সমর্থন করেছেন, শুধু সমর্থন ই নয় বরং কট্টর ভাবে সমর্থন করেছেন।

 শিরডীর  গ্রামবাসীরা সারাদিন রোদে পুড়ে কৃষিকাজ করে বাড়িতে এসে শান্তিতে ঘুমোতে চাইতো, কিন্তু রোহিলা নামক ওই ব্যক্তি কোরানের কলমা গুলো ও আল্লা হু আকবর বলে যখন ৮ প্রহর অর্থাৎ দিনরাত উচ্চারণ করতেন তখন তার সেই কর্কশ আওয়াজ শুনে বাসিন্দারা বিশ্রাম করতে পারতো না, তাদের শান্তি ভঙ্গ হতো,

কিছুদিন এভাবে সহ্য করলেও একপর্যায়ে গিয়ে বাসিন্দারা আর সহ্য করতে না পেরে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের ভরসারযোগ্য সাই বাবার কাছে অভিযোগ করেছিলেন, যাতে সমাধান হিসেবে সাই বাবা এই কর্কশ আওয়াজ থেকে নিস্তারের একটি ব্যবস্থা করে দেন। 

কিন্তু সাই বাবা তো নিজেই কট্টর জিহাদী মুসলিম ফকির।

তিনি কি আর ইসলামের সবচেয়ে প্রধান গ্রন্থ কোরান -এর পাঠ বন্ধ করবেন ? 

সাইবাবা গ্রামবাসীকে বোকা বানাবার জন্য বিরাট মিথ্যা বলে দিলেন।

সাই বাবা বললেন, রোহিলার নাকি একজন দুষ্টু স্ত্রী আছে, সেই স্ত্রী নাকি রোহিলাকে এবং সাইবাবাকে কষ্ট দেয়। 

কিন্তু রোহিলা যদি কর্কশ ভাবে কোরান পাঠ করে , তাহলে সেই আওয়াজের জ্বালায় রোহিলার স্ত্রী আর কষ্ট দিতে পারে না, এই ভাবেই নাকি তখন রোহিলার স্ত্রীর দেওয়া কষ্ট থেকে রোহিলা ও সাইবাবা নিস্তার পেয়ে শান্তি পান ।


আমার প্রিয় সনাতনী পাঠকবৃন্দরা ! 

আপনারা ভাবুন, কোরান পাঠ যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য সাইবাবা স্ত্রীবিহীন রোহিলাকে বিবাহিত রোহিলা বানিয়ে দিলেন। 

সাইবাবা যে মিথ্যাবাদী সেটা সাইবাবার জীবনী “শ্রী সাই সৎচরিত্র” পুস্তক নিজেই স্বীকার করে নিয়ে স্পষ্ট ভাবে বলেছে যে, কিন্তু আসলে রোহিলার কোন স্ত্রী ছিল না। 

সুতরাং সাইবাবা যে মিথ্যা কথা বলেছিল গ্রামবাসীদের, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার ।


এই মিথ্যা অজুহাত দিয়ে রোহিলার কোরান পাঠ চালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন সাইবাবা। 

গ্রামবাসীদের শরীরের জন্য সাঁইবাবার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, গ্রামবাসীদের যে খাটাখাটনির পর একটু শান্তি প্রয়োজন, একটু বিশ্রাম প্রয়োজন, ক্লান্ত বাসিন্দাদের যে একটু ঘুমের প্রয়োজন , সেটা নিয়ে সাইবাবা বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। তিনি মূলত ইসলামিক গ্রন্থ কোরান পাঠ যাতে কোনভাবেই বন্ধ না হয় তার জন্য মিথ্যা কথা বলতেও  রাজি, কিন্তু অন্যান্য মানুষদের জন্য তার কোন চিন্তাই ছিল না ।

এই পুস্তকের শেষে বলাই হয়েছে, 

সুতরাং 

তিনি রোহিলার পক্ষ নিয়ে গ্রামবাসীদের শান্তিপূর্বক কিছুদিন উৎপাত সহ্য করতে পরামর্শ দেন।”


অর্থাৎ সাই বাবা গ্রামবাসীদের কে ওই কর্কশ আওয়াজ শুনতেই বাধ্য করেছেন। গ্রামবাসীরা যেন এই নিয়ে কোন রকম অভিযোগ না করে তার জন্য তিনি শান্তিপূর্বক থাকতে বলেছেন গ্রামবাসীদের কে অর্থাৎ গ্রামবাসীরা যেন বাড়াবাড়ি না করে ।

সাইবাবা বলেছেন, এই কর্কট আওয়াজই সহ্য করে যেতে হবে শিরডীর বাসিন্দাদের ।


আমার প্রিয় সনাতনী রা এবার একবার বিচার করে দেখুন কোন প্রকৃত হিন্দু সনাতনী সাধু ব্যক্তি কি কখনো কোরান পাঠ করবার নির্দেশ দিতে পারেন ?

সনাতনী দের জন্য সনাতন ধর্মের শাস্ত্রই সর্বদা পাঠ করবার যোগ্য ।

যারা মুসলিম তাদের জন্য কোরন হাদিস ইত্যাদি পাঠ করা‌ই তাদের ইসলামের বিধান ।

সুতরাং সাইবাবা একজন মুসলিম ফকির হবার কারণে, তিনি তার অনুসারীকে ইসলামিক গ্রন্থ কোরান পাঠ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কট্টর ভাবে সমর্থন করেছেন । তিনি মুসলিম হওয়ার কারণেই ইসলামের নিয়মকে মেনে চলেছেন। গ্রামবাসীর সমস্যা হোক বা উপকার তাতে সাইবাবার কিছু আসে যায়নি, তিনি একজন মুসলিম হবার কারণে নিজের কর্তব্য কে পালন করার জন্য মিথ্যা পর্যন্ত বলে দিলেন।


যে সমস্ত আমার সনাতনী ভাই-বোনেরা ! এখনো অন্ধের মত এই মুসলিম ফকির সাইবাবার ভক্তি করে চলেছেন । 

তারা একটু ভেবে দেখুন তো আপনি সনাতনী হিন্দু হয়ে কি সাইবাবাকে অনুসরণ করতে করতে মুসলিমদের মত কোরান পাঠ করবেন ?


আপনি কি একজন সনাতনী ব্যক্তি হয়ে সনাতন ধর্মের পরমেশ্বরের আরাধনা ও ভক্তি ছেড়ে সাইবাবার মতো মসজিদে বসে আল্লাহ আল্লাহ করবেন ?


যিনি প্রকৃত সনাতনী তিনি কখনোই ইসলামিক কোন নিয়ম নীতি পালন করবেন না । 

আর কোন প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তি সনাতনীদের কোনো রীতিনীতি পালন করেন না। 

আমরা সনাতনীরা সর্বদা ঈশ্বরের প্রতিমাকে পূজা করি ।

কিন্তু ইসলামে প্রতিমা পূজাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বরং কেউ যদি প্রতিমাকে পূজার্চনা করে তাদেরকে কাফের মুশরিক বলা চিহ্নিত করা হয়েছে ও হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই কারণে সুদূর অতীত থেকে ভারতবর্ষে হাজার হাজার মন্দির ভেঙেছে এরা লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের হত্যা করেছে।

আর সাইবাবার মত এরকম কিছু সেকুলার মতবাদীদের সামনে রেখে তার পেছনে হিন্দু সনাতনীদের রীতিনীতিকে নষ্ট করে দেবার চক্রান্ত করে চলেছে ম্লেচ্ছ যবনেরা। 

সনাতনীরা বুঝতেই পারেনা যে ভেতরে কত বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। তারা মনে করে সাই বাবা সনাতনীদেরই গুরু বা ভগবান।

কিন্তু আসলেই, সাই বাবা ও তার অনুসারীরা সনাতনীদেরকে বিভ্রান্ত করে সনাতনীদের ভেতরে ইসলামিক বানাবার জন্য বিভিন্ন রকম ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছে।  এই ষড়যন্ত্রের বিরাট ফাঁদের বিষয়ে সহজ সরল সনাতনীরা বিন্দুমাত্র টের পায়নি ।

তাই এই মুসলিম ফকির সাই বাবার বিভিন্ন অসনাতনী কাণ্ডকারখানার মধ্যে থাকা একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরলাম।


 আপনাদের কাছে আমার এতোটুকুই অনুরোধ আপনারা এই মুসলিম পীর ফকির সাঁইবাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ সনাতনীদের সংখ্যাকে কমানোর জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করে সনাতনীদেরকে বিভক্ত করছে এই নতুন নতুন পৃষ্ঠপোষক সাইবাবার মতো ব্যক্তিরা , আর এদের পেছনে আছে ম্লেচ্ছ যবনদের বৃহৎ ষড়যন্ত্র।

নিজের ধর্মের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে গেলে এই ষড়যন্ত্র গুলোর বিষয়ে অবগত হয়ে সচেতন হন অন্যদের‌ও সাবধান করুন।


শ্রীনন্দীকেশ্বরায় নমঃ

 নমঃ শিবায় 

শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩

হর হর মহাদেব 🚩


অপপ্রচার দমনে — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য

কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 





রশষ

নলরশ

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত